শরীরকে বিশ্রাম দিচ্ছেন, কিন্তু মনকে?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সুস্থ মানুষের জন্য শরীরের যেমন বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি মনেরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। আমরা শরীরকে নিয়ে ভাবি, চাহিদা অনুযায়ী বিশ্রাম করি। কিন্তু মনের যত্নের বিষয়ে কেউই ভাবি না।
আজ (মঙ্গলবার) বিএসএমএমইউয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শরীর খারাপ থাকলে মানুষ কাজ করতে পারবে না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। মনে রাখতে হবে, নো হেলথ উইদাউট মেন্টাল হেলথ। আমাদের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও অন্যতম। মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মানেই পাগল নয়।
বক্তারা বলেন, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যাকে ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ নয়, বরং মৌলিক মানবাধিকার। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, সবারই এই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এ দিনটি পালন করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছরই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুরুতে দিবসটির কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ছিল না। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলা এবং জনসাধারণকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষিত করা।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘মানসিক স্বাস্থ্য সর্বজনীন মানবাধিকার।’ নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করে মনোরোগবিদ্যা বিভাগ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক, টিএসসি, বেসিক ভবন প্রদক্ষিণ করে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহাজাবিন মোরশেদ, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ্, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখ।
টিআই/এনএফ