করোনার চিত্র তুলে ধরতে ফের স্বাস্থ্য বুলেটিন

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে আট মাস পর আবারও অনলাইনে স্বাস্থ্য বুলেটিন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সপ্তাহে দুদিন এ বুলেটিন প্রচার করা হবে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম দেশে করোনার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
এতে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অধিকাংশ করোনা রোগীকেই তাদের রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অক্সিজেন প্রদান এবং লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় এবং এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজসহ আমাদের প্রতিটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলা জেলা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার পর্যাপ্ত আয়োজন রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা চিকিৎসায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ৩৬২টি হাই-ফ্লো নাজাল ক্যানুলা এবং এক হাজার ১৩৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে। তাছাড়া সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯০০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে করোনাভাইরাস সংশ্লিষ্ট তত্ত্ব এবং চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বহু সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। স্বাস্থ্য বাতায়নে ১৬২৬৩ বা ৩৩৩ অথবা ১০৬৫৫ নম্বরে কল করেও সেবা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বুলেটিন ফের চালু হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে সরকারের নির্দেশনায় আবার স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার করা হবে। সপ্তাহে দুদিন এটি করা হবে।
২০২০ সালের ১১ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিন বন্ধের ঘোষণা দেন। ব্রিফিং না হলেও পরদিন থেকে অধিদফতরের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে করোনা পরিস্থিতির সবশেষ তথ্য জানানো শুরু হয়।
সে সময় করোনাকালে দেশের মানুষের বড় আগ্রহের জায়গা ছিল স্বাস্থ্য বুলেটিন। বুলেটিনে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা, আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যা, সুস্থের সংখ্যা ও হাসপাতালে শয্যা পরিস্থিতিসহ করোনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হতো।
টিআই/জেডএস