অসংক্রামক রোগে মৃত্যু ‘সবচেয়ে বেশি’ হলেও বাজেটে বরাদ্দ তলানিতে
দেশে অসংক্রামক রোগে (এনসিডি) মৃত্যু উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকলেও তা মোকাবিলায় জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই অপর্যাপ্ত। তাই আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ দাবি জানানো হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ যা মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। বাকি ৩০ শতাংশের মৃত্যু হয় অন্যান্য রোগে। অথচ মোট স্বাস্থ্য বাজেটে এনসিডির অংশ মাত্র ৪ শতাংশ, আর অন্যান্যতে খাতে বরাদ্দ ৯৬ শতাংশ। এসব রোগ মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ।
আরও পড়ুন
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের সুপারিশ করে। বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী তা ৭% করার সুপারিশ করা হলেও বিগত বছরগুলোতে স্বাস্থ্য বাজেট ৫ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে।
তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় এ খাতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে হবে।
জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে কেবল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ অনেকাংশেই কমিয়ে আনাসহ অসংখ্য জীবন বাঁচানো সম্ভব।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলম, আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী সাদিয়া গালিবা প্রভা।
টিআই/এমএ