অবাধ শপিংয়ের প্রভাব ১৬ মের পর দেখতে পারব
ঈদকে কেন্দ্র করে দোকানপাট-শপিংমলগুলো থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, শপিংমল দোকানপাটগুলোতে যেভাবে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এতে বলা যায়, দেশে সংক্রমণ আবারও বাড়বে। যার প্রভাব আমরা ১৬ মের পরে দেখতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটা ঈদে কিছু জামাকাপড় না কিনলে কি হলো? কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে এভাবে কেনাকাটার কারণে ঈদের আনন্দটা যদি আনন্দ একটা ট্র্যাজেডিতে রূপ নেয়, তাহলে বিষয়টা কেমন হবে? এতে করে শুধু ওই ব্যক্তিই নয়, তার পরিবারকেও ভয়ঙ্কর বিপদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বাধ্য হয়ে মার্কেট খুলে দিয়েছে, কিন্তু যাওয়া না যাওয়া তো আমাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা যদি না যাই তাহলেই তো হয়। এই জিনিসগুলো আমাদের নিজেদের ওপর নির্ভর করে সবকিছু সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখছি, যেভাবে মহিলারা মার্কেটে যাচ্ছে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে, এতে বিপদ অবশ্যই বাড়বে।
তারপরও আমরা খুলে দিয়েছি, আমরা বলে দিয়েছি মার্কেটে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকবে না। ঢুকলে জরিমানা করা হবে। তবুও এ কাজগুলোকে কেউ করছে না, কেউই মানছে না। আল্লাহ না করুক, আমাদের জন্য যেন বড় কোনো বিপদ না আসে।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসায় আমাদের ১৬ হাজার শয্যা রয়েছে। কিন্তু রোগী যদি আমাদের ৫০ হাজার বা এক লাখ আসে, তাহলে তো আমরা হাসপাতালে জায়গা দিতে পারবো না। কোনো দেশ বা কোনো সরকারই এটা পারবে না। তাই আমাদের নিজেদেরই সজাগ হতে হবে। দেশকে ভালো রাখতে হবে, নিজেদের পরিবারকে ভালো রাখতে হবে। এর চাবিকাঠি কিন্তু আমাদের নিজেদের হাতেই। সরকার শুধু বলে দিতে পারবে, কিন্তু আমাদেরই মানতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ আরও অনেকে।
টিআই/এসএম