‘জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে’

জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এই বিপ্লব আমাদের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিএমইউর শহীদ ডা. মিলন হল করিডোরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ স্মরণে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ফটো এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শাহিনুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ এবং নাগরিক দায়িত্ববোধের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা। আজকের প্রজন্মকে এই চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা একটি উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
উপাচার্য বলেন, আজ যারা শহীদ হয়েছেন, যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। আমাদের উচিত তাদের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।
ফটো এক্সিবিশনে ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়সহ জুলাই বিপ্লবের নানা ঐতিহাসিক ঘটনা স্থিরচিত্রে উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান, ফ্রি স্ক্রিনিং এবং রক্তদাতা নিবন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়।
প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএমইউ উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জন্ম নেওয়া নতুন ধরনের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানই ছিল জুলাই বিপ্লব। এর শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা এবং কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনা দেশের নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও নেতৃত্বের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করবে।
টিআই/জেডএস