৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা বাড়াল সরকার

দেশের নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের উপসচিব (ব্যয় ব্যবস্থাপনা শাখা-৬) মো. সায়েমুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংখ্যা উন্নীতকরণ ও বর্ধিত শয্যায় সেবা কার্যক্রম চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
শয্যা সংখ্যা বাড়ানো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো হলো—
যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা। এবং দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা।
এছাড়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকেও এরআগে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং বর্ধিত শয্যায় সেবা কার্যক্রম চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শয্যা বাড়ানোর বিষয়ে সব ধরনের বিধি-বিধান, আনুষ্ঠানিকতা ও নিয়ম-কানুন অবশ্যই যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে শয্যা সংকট ছিল। রোগীর চাপ বেশি থাকায় অনেক সময় মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনবহুল এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় রোগীদের জেলা বা বিভাগীয় শহরের বড় হাসপাতালে যেতে বাধ্য হতে হতো। এতে খরচ, সময় ও ভোগান্তি বেড়ে যেত।
তবে এখন এই হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ায় এখন থেকে স্থানীয়ভাবে আরও বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতে দ্রুত সেবা পাওয়া যাবে, জেলা শহরে রোগীর চাপ কমবে এবং গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য হবে। এ উদ্যোগে প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য অধিকার আরও নিশ্চিত হবে।
টিআই/বিআরইউ