বার্ড ফ্লু’র সংক্রমণ রোধে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ

বার্ড ফ্লু রোগের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠির মাধ্যমে অধিদপ্তরকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়।
চিঠিতে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাসহ অন্যান্য জেলায় প্রতিদিন বার্ড ফ্লু রোগের অনুসন্ধান, সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি-বেসরকারি খামারে নিবিড় তত্ত্বাবধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কোনো মৃত বা সন্দেহজনক হাঁস-মুরগী বা পাখি পাওয়া গেলে নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত নিকটবর্তী ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও গবেষণাগারে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষার কিট ও পিপিই সরবরাহ, খামারে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কৃষক ও খামারিদের সতর্ককরণে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, দ্রুততার সঙ্গে টিকা সংগ্রহে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
একই চিঠিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু এবং এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সারাদেশ থেকে সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের নয়টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড ফ্লু। সর্বশেষ দিল্লি ও মহারাষ্ট্র সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং গুজরাটে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়।
মহারাষ্ট্রে গত দুই দিনে ৮০০ মুরগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষায় বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাখি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানায়। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যটিতে চার লাখেরও বেশি পাখি মারা গেছে। সতর্কে আছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং ছত্তিশগড়।
হাঁস-মুরগি ও এ জাতীয় পাখি আমদানি নিষিদ্ধ এবং গাজীপুরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি পোল্ট্রি বাজার বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি জেলায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি টিম গঠন করা হয়েছে।
কেরালার আলাপ্পুঝা ও কোত্তায়াম জেলায় ১২ হাজার হাঁস মারা যাওয়ার পর সেখানে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচফাইভএনএইট স্ট্রেইন নিশ্চিত হলে গত সপ্তাহে ১০ হাজারের মতো পাখি হত্যা করা হয়। আক্রান্ত এলাকায় মুরগি বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
এসএইচআর/এসআরএস