প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সুশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ

কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সুশিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা বেশি। তাই শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ‘কিশোর কিশোরী ও যুবদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স ও পার্লামেন্ট নিউজ আয়োজিত সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। আলোচনায় অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সিনিয়র স্পেশালিস্ট প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)’র উপ-পরিচালক শাহনাজ সুমী, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।
সংলাপে সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, মানুষের জড়তা ও সামাজিক কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে প্রয়োজন সঠিক শিক্ষা। তাই এ ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করা সম্ভব হবে।
সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, নারীর সকল প্রকার অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। কৈশোরকালে সন্তানদের প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, সরকারের সেবা যাতে জনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছায়, সে জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো নারীদের মাসিক (পিরিয়ড) যে স্বাভাবিক বিষয় সেটা সকলকে অনুধাবন করতে হবে।
কাজী মহিউল ইসলাম বলেন, নারীর প্রতি সমাজের পশ্চাৎপদ ধারণার পরিবর্তন করতে হবে। জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী বলেন, এনসিটিবির কারিকুলামে মাসিকের বিষয়গুলো আছে। শিক্ষকদের এ ব্যাপারে ওরিয়েন্টেশনও দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুর্বলতাগুলো দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলামে মাসিক সংক্রান্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
এসকেডি
