ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাজ্যসহ ২৫ দেশ

দেশের ভেতরে সামরিক অভিযান শুরু করা রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে চাইছে যুক্তরাজ্যসহ ২৫টি রাষ্ট্র। শনিবার বিবিসিকে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হিয়েপ্পে।
বিবিসি রেডিও ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিয়েপ্পে বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, রুশ আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাধারণ জনগণ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে; কিন্তু নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে যে কোনো সময় রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলোতে বোমাবর্ষণ শুরু করতে পারে রুশ বাহিনী।’
‘এ কারণে যুক্তরাজ্য ও তার মিত্র ২৫ টি দেশ মনে করছে, অবিলম্বে ইউক্রেনে অস্ত্র সহায়তা পাঠানো উচিত। তবে আমরা চাই, আমাদের পাঠানো অস্ত্র যেন ইউক্রেনীয়দের হাতেই পড়ে, বেহাত যেন না হয়। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সেটি সম্ভব, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
ইতোমধ্যে রুশ সেনারা ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মালিতপোল দখল করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। এছাড়া, রাজধানী কিয়েভেও রুশ সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
রুশ সৈন্যদের তীব্র আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। মস্কোর সর্বাত্মক আক্রমণের মুখে প্রতিরোধের চেষ্ট করছে ইউক্রেনও। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দাবি, রুশ আক্রমণ শুরুর পর ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
অন্যদিকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত তিন দিনের রুশ সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ১৯৮ জন বেসামরিক ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জন শিশুও আছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১১৫ জন এবং তাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ৩৩ জন।
এসএমডব্লিউ