মিয়ানমারে বিক্ষোভ দমনে মার্শাল ল জারি

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মান্দালয়ের বেশ কিছু এলাকায় সোমবার মার্শাল ল জারি করেছে সামরিক জান্তা সরকার। এদিকে মিয়ানমারজুড়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ আরও জোরালো হওয়ার পর যাতে আর কোনো বিক্ষোভ না হয় এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছে সামরিক বাহিনী। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
জান্তা সরকারের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মার্শাল ল জারি হওয়ায় মান্দালয়ের সাতটি উপশহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন তো দূরের কথা পাঁচ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না। এছাড়া রাত ৮টা থেকে কারফিউ জারি হবে। চলবে ভোর চারটা পর্যন্ত।
আরও দক্ষিণে আইয়ারওয়াদ্দির নামের একটি উপশহরে একইরকম ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য এলাকা সম্পর্কিত ঘোষণাগুলো আজ রাতেই কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মান্দালয়ের একটি উপশহর কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্দেশ বলবৎ থাকবে।’
বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘কিছু মানুষ উদ্বেগজনক আচরণ করছে যা জনসাধারণ এবং আইন প্রয়োগের সুরক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জাতীয় আচরণ স্থিতিশীলতা, মানুষের সুরক্ষা, আইন প্রয়োগকারী এবং গ্রামগুলোর শান্তিপূর্ণ অস্তিত্বকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণেই এই আদেশের মাধ্যমে জনসমাবেশ, জনসমক্ষে কথা বলা, যানবাহনের মাধ্যমে সমাবেশ করে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
মিয়ানমারে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হলেও জান্তা সরকার এখনো সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগের পথে হাঁটেনি। বিক্ষোভ নিয়ে সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারও করে দিয়েছে। এছাড়া সোমবার মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর নেপিদোতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করার পর সহিংসতার উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটনায়। গ্রেপ্তার করা হয় বিপুল ভোটে নির্বাচিত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের। এতে করে দীর্ঘদিন পর দেশটিতে শুরু হওয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আবার থমকে গেছে। এরপর শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ।
এএস