ইউক্রেন ছাড়তে নারাজ এক বাঙালি চিকিৎসক

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এরইমধ্যে একাদশতম দিনে পা দিয়েছে। দেশটিতে থাকা বিদেশিরা যে যেভাবে পারছেন দেশ ছাড়ছেন। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনীয়রাও।
তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম ভারতীয় এক বাঙালি চিকিৎসক। ইউক্রেনে মেডিকেল পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ না নিরাপদে অন্য কোনো আশ্রয় পাচ্ছেন ততক্ষণ তিনি দেশ ছাড়বেন না।
এদিকে পৃথ্বীরাজ ঘোষ নামের এই চিকিৎসকের জন্য দেশে চিন্তায় ঘুম হারাম তার বাবা-মায়ের। তবে ছেলের এই সিদ্ধান্ত গর্বিতও করছে তাদের।
পৃথ্বীর বাবা-মা বলছেন, ভারতীয় পড়ুয়ারা পৃথ্বীকে দাদা বলে মনে করে। এমন পরিস্থিতিতে ওদের অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে চলে আসা যায়?
৩৭ বছরের বাঙালি ওই চিকিৎসক বলছেন, আমি স্বেচ্ছায় শহর ছাড়িনি৷ ইউক্রেন থেকে ৩৫০ জন পড়ুয়াকে বের করতে পেরেছি৷ ওরা সবাই কিয়েভে পড়াশোনা করত।
যেহেতু তিনি এখনও কিয়েভেই আছেন তাই অন্যান্য কো-অর্ডিনেটররা ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে তার কাছেই সাহায্য চাইছেন। পৃথ্বী নিজেই জানান, এখনও অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থী আটকে আছে। কিন্তু এই গোলাগুলির মধ্যে তাদের কাছে পৌঁছানো কঠিন।
চিকিৎসক পৃথ্বীরাজ জানিয়েছেন, খারকিভ থেকে অন্তত ২ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীকে বের করা গেছে।
বাবা-মায়ের জন্য চিন্তা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছেন পৃথ্বী নিজেও। তবে তিনি বলছেন, এটা আমার কর্তব্য। শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের কাছেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে তাদের ছেলে-মেয়েদের খেয়াল রাখব। ২০১৩-১৪ সালেও এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন আমার বয়স কম ছিল। সেবারও অনেককে সাহায্য করেছিলাম। এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বও বেড়েছে।
এনএফ