পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে উত্তর কোরিয়ার সহযোগী ইরান

জাতিসংঘের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পরমাণু প্রকল্প ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও উন্নয়নে একে অপরকে সহযোগিতা করছে ইরান ও উত্তর কোরিয়া। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের প্যানেল সদস্যরা এ বিষয়ে ইরান সরকারের প্রতিনিধিদের প্রশ্ন করলে তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন- উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে ইরানের কোনও প্রকার যোগাযোগ হয়নি, সহযোগিতা তো অনেক দূরের ব্যাপার।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এর সত্যতা জাতিসংঘের এক প্যানেল সদস্যকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত যন্ত্রাংশ ও কারিগরি সহায়তা বিনিময় শুরু করেছে ইরান ও উত্তর কোরিয়া। ২০২০ সালে এ বিষয়ক একাধিক যৌথ বিনিময় হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত এবং পারমাণবিক সমরাস্ত্র উন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্প উত্তর কোরিয়া সরকার শুরু করেছে বলে গত বছর ঘোষণা আসে দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে; আর এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সরবরাহে ইরানের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন সরকার।
প্রকল্প ব্যয় নির্বাহে দেশটির সরকার ইতোমধ্যে নিজের সমুদ্রসীমায় অর্থের বিনিময়ে নিজের সমুদ্রসীমায় কয়েকটি দেশকে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে এবং জাতিসংঘের নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি কয়লা রপ্তানি করেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম আমদানির বিষয়ে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়াকে যে নির্দেশনা দিয়েছে- তাও গতবছর লঙ্ঘন করেছে কিম জং উনের নেতৃত্বাধীন উত্তর কোরিয়া সরকার।
এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়াকে বাৎসরিক ৫ লাখ ব্যারেল পেট্রোলিয়াম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ২০২০ সালে দেশটি যে পরিমাণ পেট্রোলিয়াম আমদানি করেছে, তা জাতিসংঘের অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি।’
পেট্রোলিয়াম আমদানির বিষয়ে উত্তর কোরিয়া জাতিসংঘের নির্দেশনা মানছে না- এ বিষয়ক একটি স্যাটেলাইট চিত্র ও তথ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উপস্থাপন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তখন এই অভিযোগকে পাত্তা দেয়নি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তর কোরিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এবং রাশিয়া।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএমডব্লিউ