ইউক্রেন ইস্যুতে একসঙ্গে তৎপরতা চালানোর ঘোষণা চীন-ইতালির

ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবে চীন ও ইতালি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইগি ডি মাইও।
তবে এই ইস্যুতে চীন রাশিয়ার পক্ষে থাকলেও ইতালির সমর্থন ইউক্রেনের দিকে বলে জানিয়েছেন লুইগি ডি মাইও। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি রুশ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ইউক্রেনের জনগণের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।’
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীর্ঘ ২ মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার এই অভিযানকে ‘আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে শুরুর থেকেই দেশটির তীব্র সমালোচনা ও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে গেছে ইউরোপ। কিন্তু এসবে রুশ অভিযানের গতি রুদ্ধ হয়নি।
অন্যদিকে, রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র চীন অভিযানের প্রথম দিনই জানিয়েছিল, বেইজিং একে ‘আগ্রাসন’ বলতে নারাজ। পাশপাশি, উভয় দেশের সংকট সমাধানে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার ওপরও গুরুত্ব দিয়ে আসছিল চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার।
মঙ্গলবার ইউক্রেন ইস্যুতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বৈঠকে জিনপিং বলেন, ‘ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানের জেরে ইউরোপে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার যে আকাঙ্ক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে— তা দেখে চীন ব্যাথিত। ইউক্রেনের পরিস্থিতি দিনকে দিন উদ্বেগজনক হচ্ছে এবং এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ যদি সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় না দেয়, সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ