লভিভের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রুশ হামলা, দফায় দফায় বিস্ফোরণ

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ অঞ্চলে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। লভিভের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও রুশ সামরিক বাহিনী বিমান থেকে মিসাইল হামলা চালিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে আরও বেশ কিছু এলাকা থেকেও। রোববার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি ইউক্রেনিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, লভিভের সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ বাহিনী যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে সেখানকার আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্রে (আইপিএসসি) আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কেন্দ্রটি লভিভ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়াভোরিভ জেলায় অবস্থিত এবং এটি একটি সামরিক প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র।
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে লভিভ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছিল বিবিসি ইউক্রেন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তাসংস্থা ইউএনআইএএন জানিয়েছে, লভিভ শহরে দু’টি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লভিভ এবং ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলে সারা রাত ধরে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়।
এছাড়া ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, লভিভে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মিসাইল হামলা চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কেন্দ্র (আইপিএসসি) গঠিত হয়েছিল। এখানে বিদেশি সেনারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে।
আইপিএসসি সম্পর্কে সামরিক জোট ন্যাটোর একটি নথিতে বলা হয়েছে, ডি-মাইনিং এবং মাইন সুরক্ষা বিষয়ে ইউক্রেনীয় ও অন্যান্য দেশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এই কেন্দ্রটি।
বিবিসি ইউক্রেনের মিরোস্লাভা পেতসা জানিয়েছেন, আইপিএসসি ইউক্রেনের দু’টি স্থানের মধ্যে একটি যেখানে আন্তর্জাতিক সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হামলার শিকার এই সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পোল্যান্ড তথা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
লভিভ শহরটি মূলত পশ্চিম ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। শহরটিকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে বহু বিদেশি সংবাদমাধ্যম কাজ করছে। এছাড়া রুশ সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন ছেড়ে পালানোর জন্য বিপুল সংখ্যক শরণার্থী মূলত এই শহরটিই পাড়ি দিচ্ছে।
টিএম