সিরিঞ্জ সংকটে জাপানে টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত

করোনার টিকা দেওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের সিরিঞ্জ সংকটে পড়েছে জাপান। বিশেষ সিরিঞ্জ উৎপাদন বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে দেশটিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, এমন সংকট দেখা দেওয়ায় জাপানের লাখ লাখ ডোজ করোনা টিকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষও বেশ উদ্বিগ্ন।
প্রায় ১৩ কোটি মানুষের দেশ জাপান। গত মাসে সরকার ১৪ কোটি ৪০ লাখ করোনা টিকা পাওয়ার জন্য মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে চুক্তি করে। আগামী বুধবার থেকে দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা।
ফাইজার বলেছে, একটি শিশিতে ছয়টি শট থাকে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ সিরিঞ্জ প্রয়োজন হয়; যা ছয়টি ডোজ নেওয়ার জন্য একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে পারে। কিন্তু দেশটির সরকার টিকাদান শুরুর জন্য যেসব ইনজেকশন সংরক্ষণ করেছে সেগুলো দিয়ে পাঁচটি শট দেওয়া যায়। বিপত্তিটা শুরু হয়েছে এখানেই।
টিকাদান শুরুর খুব কম সময় থাকলেও জাপান সরকার অবশ্য আশ্বস্ত করছে। জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাতসুনোবো কাতো মঙ্গলবার বলেন, বিশেষ এই সিরিঞ্জ যোগাড় করার চেষ্টা করছি আমরা।
গত সপ্তাহেও অবশ্য তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তাকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন যে, সিরিঞ্জ সংকট মানে তো জাপান যে টিকাগুলো দিতে পারছে তার সংখ্যা কমবে। তখন তিনি সরাসরি এর উত্তর দেননি।
তবে প্রতিটি শিশি থেকে ছয় ডোজ টিকা দেওয়ার শর্তে জাপান ১৪ কোটি ৪০ লাখ টিকা পাওয়ার চুক্তি করেছিল কিনা এ নিয়ে ফাইজার কর্তৃপক্ষ ও জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না।
জাপানকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সরকার। এর মাধ্যমে গত বছর করোনার কারণে স্থগিত হওয়া টোকিও অলিম্পিক আসন্ন গ্রীষ্মে আয়োজনের চেষ্টা চলছে।
এএস