স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, ৩ পুলিশকে গুলি করে মারলেন স্বামী

স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন সহকর্মীরা। আর এতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তিন সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করলেন এক পুলিশ স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে।

অবশ্য রাগের মাথায় সহকর্মীদের হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য। সোমবার (১৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশের সূত্র দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তিন সহকর্মীকে গুলি চালিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের নাম প্রবীণ রাই। সিকিম রাজ্যের বাসিন্দা হলেও প্রবীণ বর্তমানে দিল্লিতে কর্মরত রয়েছেন।

আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা কাজে মাসে বেতন ৫ লাখ টাকা, তবুও মিলছে না শ্রমিক

সোমবার ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের জন্য নিরাপদ পানির প্লান্টে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও। দিল্লির হায়দারপুর এলাকার ওই পানির প্লান্টের কাছেই ঘটে যায় ঘটনাটি।

ঘটনার পরই থানায় আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত প্রবীণ। কিন্তু ঠিক কী কারণে সহকর্মীদের প্রাণ নিলেন তিনি? স্পেশ্যাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের পর জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত দাবি করেন, তার স্ত্রীর সম্পর্কে অশালীন কথা বলেছিলেন সহকর্মীরা।

আরও পড়ুন: টয়লেটে সন্তান প্রসব করলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

প্রবীণ রাইয়ের দাবি, তাকে মানসিক চাপ দিতেই এমনটা করছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নেন প্রবীণ। তিন সহকর্মীর দিকে পিস্তল তাক করে গুলি চালান। তবে তিনি যে ঠিক করেননি, তা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারেন। আর সেই কারণেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ডেপুটি কমিশনার (রোহিনী) প্রণব তয়াল বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের তিন কর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। তাদের মধ্যে দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আরেকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিএসএ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

আরও পড়ুন: চিকিৎসার অজুহাতে ডেকে জোর করে চিকিৎসককে বিয়ে

উল্লেখ্য, দিন দু’য়েক আগেই গত শনিবার অনেকটা এমনই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেসময় ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের উধমপুরে আইটিবিপির এক জওয়ান তিন সহকর্মীর ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে তারা আহত হলেও আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত জওয়ান। আর এবার খোদ ভারতের রাজধানীতেই ঘটলো প্রায় একই ঘটনা।

টিএম