করোনায় বিশ্বজুড়ে বরাদ্দ কমেছে শিক্ষা খাতে: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে গত বছর নিম্ন ও মধ্য অর্থনীতির দেশগুলো শিক্ষাখাতে বাজেটে বরাদ্দ কমিয়েছে ৬৫ শতাংশ, অন্যদিকে উচ্চ ও উচ্চ-মধ্য অর্থনীতির দেশগুলো এই খাতে বরাদ্দ কমিয়েছে ৩৩ শতাংশ। সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় করোনা ভাইরাস। তারপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্বের সব প্রান্তে তা মহামরি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারির প্রথম ছয় মাস লকডাউন বা গৃহবন্দি সময় পার করেছে বিশ্ব। হাসপাতাল, ব্যাংক ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী ব্যতীত সমস্ত প্রতিষ্ঠান এ সময় বন্ধ ছিল।
তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন শিথিল করে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলেও বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষা খাতের বাজেটের ওপর করোনা মহামারির প্রভাব কেমন পড়েছে খতিয়ে দেখতে গত বছর ইউনেস্কোর গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং (জিইএম)-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে সমীক্ষা চালিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই সমীক্ষায় বেছে নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ, মিশর, ভারত, কেনিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, মরক্কোর মতো মতো নিম্ন ও মধ্য অর্থনীতির ১৪টি দেশ এবং আর্জেন্তিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, মেক্সিকো-র মতো ১০টি উচ্চ-মধ্য অর্থনীতির দেশ।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ‘এটা স্পষ্ট নয়, যেসব দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়েছে তারা ফের এই খাতে কতটা বরাদ্দ বাড়াতে সক্ষম হবে। তবে শিক্ষাব্যবস্থাকে মসৃণ পথে ফিরিয়ে আনতে যখন বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি, তখন তার ঠিক উল্টোটাই ঘটছে অনেক দেশে।’
ভারতের উদাহারণ টেনে বলা হয়, গত বছর বাজেটে ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৬ শতাংশ কমানো হয়েছে। ৯৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৯৩ হাজার ২২৩ কোটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতির উপর যেমন প্রভাব পড়েছে, ঠিক তেমনই প্রভাব পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থার উপর। অনলাইন ক্লাস চলছে। করোনার চরম পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা।
যদিও কিছু দেশে ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে, স্বাভাবিক পথে ফেরা শুরু করেছে শিক্ষা ব্যবস্থা; কিন্তু করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রমের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা স্বাভাবিক হতে বহু সময় লাগবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আনন্দবাজার
এসএমডব্লিউ