ভারতে কনডম কারা বেশি ব্যবহার করেন? আমরা: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবতের বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ওয়াইসি বলেছেন, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে না এবং মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কনডম ব্যবহার করছে।
হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশের ভিডিও টুইট করেছেন ওয়াইসি। ভিডিওতে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ওয়াইসিকে বলতে শোনা যায়, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে না, বরং কমছে। মুসলমানদের সন্তান জন্মদানের ব্যবধানও বাড়ছে। দেশে কারা সবচেয়ে বেশি কনডম ব্যবহার করেন? আমরা মুসলিমরা। মোহন ভগবত এ নিয়ে কথা বলবেন না।
এর আগে, ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শিক পরামর্শদাতা ও আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতি দরকার। যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। আরএসএসের বার্ষিক দশেরা সমাবেশে আরএসএসের এই প্রধান ভারতের জনসংখ্যায় ‘ধর্ম-ভিত্তিক ভারসাম্যহীনতা’ এবং ‘জোর করে ধর্মান্তকরণ’র কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
— AIMIM (@aimim_national) October 8, 2022
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন মুসলিম নেতার সাথে সাক্ষাতের কয়েক সপ্তাহ পর মোহন ভগবত বলেন, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য আনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; যা উপেক্ষা করা যায় না।’
মোহন ভগবতের এমন মন্তব্যের জবাবে ভারতের জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা-৫ এর বরাত দিয়ে বলেন, ভারতে মুসলমানদের সন্তান জন্মদানের মোট হার (টিএফআর) সর্বোচ্চ হ্রাস পেয়েছে।
এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আরএসএস প্রধানকে নিখোঁজ হিন্দু মেয়ে শিশুদের নিয়ে কথা বলার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি মোহন ভগবতকে আহ্বান জানাতে চাই। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমাদের লাখ লাখ হিন্দু বোন নিখোঁজ রয়েছে। এটা সরকারের পরিসংখ্যান। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন না।’
ওয়াইসি বলেন, মনে রাখবেন, হিন্দু রাষ্ট্র ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে। এটি ভারতের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, যেখানেই বিজেপি ক্ষমতায় আছে, সেখানে মনে হচ্ছে মুসলমানরা একটি খোলা কারাগারে বসবাস করছে।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএস