ভাইরাল ভিডিও: দোকানের বৈদ্যুতিক বাল্ব চুরি করলেন পুলিশের এসআই

অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দোকানের বাইরে লাগানো একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চুরি করে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন পুলিশের এক উপ পরিদর্শক (এসআই)। বাল্ব চুরি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর পুলিশ সদস্যের বাল্ব চুরির আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে।
বাল্ব চুরির দায়ে যে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার নাম রাজেশ ভার্মা। তিনি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর থানায় পুলিশের উপ পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত আছেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বন্ধ একটি দোকানের দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন রাজেশ ভার্মা। দোকানের সামনে গিয়ে আশপাশে একনজর দেখে নেন তিনি। পরে দ্রুততার সাথে দোকানের সামনে লাগানো একটি বাল্ব খুলে পকেটে ভরেন। এরপর ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে চলে যান তিনি।
দশেরা মেলার দিনে পুলিশের এই কর্মকর্তা নৈশকালীন ডিউটিতে ছিলেন। স্থানীয়রা বলেছেন, দোকান থেকে পুলিশ কর্মকর্তার বাল্ব চুরির এই ঘটনা গত ৬ অক্টোবর ঘটেছে।
— Harish Deshmukh (@DeshmukhHarish9) October 15, 2022
পরের দিন সকালে গিয়ে দোকানদার দেখেন দোকানের সামনের বাল্বটি নেই। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। ফুটেজে দেখতে পান, জনসাধারণের সেবা করার কথা যার সেই পুলিশের এক কর্মকর্তা বাল্বটি চুরি করেছেন।
এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে তীব্র সমালোচনা আর নিন্দার মুখে উত্তর প্রদেশ পুলিশ রাজেশ ভার্মাকে বরখাস্ত করে।
অভিযুক্ত এই পুলিশ সদস্য সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে। উত্তর প্রদেশের ফুলপুর থানায় গত ৮ মাস ধরে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।
চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এই কর্মকর্তা অবশ্য বলেছেন, বাল্বটি কেবল দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে তিনি যেখানে রাতের ডিউটিতে ছিলেন সেখানে লাগিয়েছিলেন। কারণ তার ডিউটি পালনের স্থানটি অন্ধকার ছিল। পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এ ধরনের দ্বিতীয় আরেকটি ঘটনা উত্তর প্রদেশ পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। কয়েক দিন আগে প্রদেশের কানপুরের ফুটপাতে ঘুমন্ত এক ব্যক্তির পকেট থেকে মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন পুলিশের এক সদস্য।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসএস