আফ্রিকা নয়, ইউরোপে গেছে ইউক্রেনের অর্ধেক খাদ্য শস্য

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাদের হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রপ্তানি।
বিশ্বের মোট গম চাহিদার বড় একটি অংশ মেটায় ইউক্রেন। কিন্তু যখন রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় তখন বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলো বলে আসছিল, খাদ্য শস্য রপ্তানি বন্ধ হওয়ার কারণে আফ্রিকার দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ফলে রাশিয়াকে তারা শস্য রপ্তানি চালু করতে চাপ দিতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে জুলাইয়ে তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে খাদ্য শস্য চুক্তি করে রাশিয়া। এ চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো দিয়ে বের হয় ইউক্রেনের লাখ লাখ টন শস্য।
তবে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) তুরস্কের যোগাযোগ ও অবকাঠামো মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলোগলু জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার চুক্তির পর যেসব শস্য রপ্তানি করা হয়েছে, সেগুলোর অর্ধেকই গেছে ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে।
এ ব্যাপারে তার্কিস মন্ত্রী বলেছেন, ‘গত ১ আগস্ট থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৮৫টি পণ্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ১৫.৮ মিলিয়ন টন কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে। তুরস্কের বন্দরগুলোতে ভিড়েছে ১৭১টি জাহাজ।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনের রপ্তানিকৃত কৃষিপণ্যের ১৫ ভাগ নিয়েছে তুরস্ক। ১২ ভাগ গেছে আফ্রিকার দেশগুলোতে। ২৯ ভাগ গেছে এশিয়ার দেশগুলোতে। আর বাকি ৪৪ ভাগ পণ্যই গেছে ইউরোপের দেশগুলোতে।’
সূত্র: টাস নিউজ (রাশিয়ার বার্তাসংস্থা)
এমটিআই