পশ্চিমবঙ্গে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়লেন বাংলাদেশি নারী

Dhaka Post Desk

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১০ পিএম


পশ্চিমবঙ্গে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়লেন বাংলাদেশি নারী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বেড়াতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশি এক নারী। বুধবার সকালের দিকে প্রদেশের নদিয়ার কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

নিহত নারীর নাম পূর্ণিমা সাহা (৫৬)। বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে পূর্ণিমার। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায় দেড় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি।

বুধবার নবদ্বীপ ও মায়াপুরে তীর্থ সেরে এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর রানাঘাট হয়ে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে গোপালগঞ্জে ফেরার কথা ছিল তার। এ জন্য সকালের দিকে নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশনে যান তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কৃষ্ণনগর থেকে রানাঘাটগামী সকাল ৬টা ২০মিনিটের ট্রেন ধরতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ওই নারী। কিন্তু স্টেশনে পৌঁছানোর পর দেখেন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। পরে দৌড়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ফাঁকে চলে যায় তার শরীর। এর ফলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

পরে মরদেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ওই নারীর আত্মীয়স্বজনরা কৃষ্ণনগর রেলপুলিশের সঙ্গে দেখা করেন এবং জেলা হাসপাতালে যান।

পূর্ণিমা সাহা কৃষ্ণনগরের হাঁসখালি থানার বগুলার বাসিন্দা সুবোধ সাহার চাচী। সুবোধ সাহা বলেন, তীর্থ সম্পাদন এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে প্রায় দেড় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন পূর্ণিমা সাহা। নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে ট্রেন ধরে রানাঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল তার।

তিনি বলেন, রানাঘাটে এক আত্মীয়র বাড়িতে তার সব ব্যাগপত্র রাখা ছিল। কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেন ধরে রানাঘাটে পৌঁছে সেসব মালপত্র নিয়ে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হল না। গোপালগঞ্জ থেকে চিকিৎসা করানোর জন্য ভারতে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা সাহার বেয়াই অরবিন্দ রায়। পূর্ণিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনিও পৌঁছেছিলেন কৃষ্ণনগরে। তিনি বলেন, পূর্ণিমা সাহা এভাবে চলে যাবেন, তা ভাবতেও পারিনি। রেল পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসএস

Link copied