কাজ না পারায় পুত্রবধূকে বকাঝকা, শাশুড়ির পক্ষে ভারতের হাইকোর্ট

ঘরের কাজ না পারার কারণে শাশুড়ির বকাঝকার মুখে পড়লে তাকে পারিবারিক সহিংসতা বলা যাবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট।
ঘরকন্নার কাজে ভুলত্রুটি হলে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হয় অনেক পুত্রবধূকেই। তবে উচ্চ আদালত মনে করছে, এই ‘অপরাধে’ কারও বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা হতে পারে না।
২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা এক দম্পতির। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৮ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করা হয়, পণ দিতে না পারার কারণেই মেরে ফেলা হয়েছে তাদের মেয়েকে। একইসঙ্গে বাড়ির কাজ করতে না পারায় তার উপর অত্যাচার করা হতো বলেও অভিযোগ করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি ভিআরকে কৃপাসাগর অবশ্য তার পর্যবেক্ষণে এর মধ্যে সহিংসতার কিছু দেখেননি।
ঘরের কাজ না পারার জন্য বকুনি দেওয়াকে সহিংসতা তকমা না দিয়ে বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে জানান, প্রতিটি সংসারেই সংসারের প্রধান ঘরের কাজ না পারলে পুত্রবধূদের বকাঝকা করে থাকেন। কোনো কোনো সময় অন্যের উদাহরণ টেনে ভালো কাজ করার প্রেরণাও জোগানো হয়। কিন্তু এমনটা কখনও ঘটে না যে, কেউ সংসারের কাজ না পারলে তাকে মারধর করা হচ্ছে। পণ চেয়ে না পাওয়ায় অত্যাচার করা হলে তখনই সেটা সহিংসতার পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে জানান তিনি। মৃতার পরিবার শাশুড়ি এবং জামাইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিল, তা খারিজও করে দেন বিচারপতি।
এনএফ