১৮টি লিওপার্ড ট্যাংক হাতে পেল ইউক্রেন
অবশেষে লিওপার্ড ২ ট্যাংক হাতে পেয়েছে ইউক্রেন। সোমবার (২৭ মার্চ) ১৮টি ট্যাংক পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে পৌঁছায়। রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য জার্মানি চলতি বছরের শুরুতে এই ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং এদিন সেগুলোই হাতে পায় দেশটি।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য জার্মানির প্রতিশ্রুতি দেওয়া ১৮টি লিওপার্ড ২ যুদ্ধ ট্যাংক দেশটিতে পৌঁছেছে বলে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসব ট্যাংক সরবরাহ করতে সম্মত হয় জার্মানি।
রয়টার্স বলছে, লিওপার্ড ২ মডেলের ট্যাংক পশ্চিমাদের অস্ত্রাগারের মধ্যে সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। রাশিয়ার আক্রমণকে পরাস্ত করার জন্য এই ট্যাংককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বরাবরই দাবি করেছে এসেছে কিয়েভ। অন্যদিকে ইউক্রেনকে এই ধরনের ট্যাংক দিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টিকে মস্কো এর আগে বিপজ্জনক উস্কানি হিসাবে আখ্যা দিয়েছিল।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, এই যুদ্ধ ট্যাংকগুলো যুদ্ধে বড় অবদান রাখতে পারে।’
রয়টার্স বলছে, ১৮টি লিওপার্ড ২ ট্যাংক ছাড়াও ৪০টি জার্মান মার্ডার পদাতিক ফাইটিং যান এবং দু’টি সাঁজোয়া আর্মর্ড রিকভারি ভেহিকেলও ইউক্রেনে পৌঁছেছে বলে একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
জার্মান সেনাবাহিনী উত্তর জার্মানির মুয়েনস্টার এবং বার্গেনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনীয় ট্যাংক ক্রুদের পাশাপাশি মার্ডার ভেহিকেল পরিচালনার জন্য নিযুক্ত সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে জার্মান ট্যাংকের পাশাপাশি পর্তুগালের দেওয়া তিনটি লিওপার্ড ট্যাংকও ইউক্রেনে পৌঁছেছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, লিওপার্ড ২ ট্যাংক অত্যাধুনিক এবং বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির যুদ্ধট্যাংক বলে বিবেচনা করা হয়। জার্মানি এই ট্যাংক তৈরি করে এবং জার্মান সেনাবাহিনী ও অনেক ইউরোপীয় দেশের সামরিক বাহিনী এই ট্যাংক ব্যবহার করে।
এছাড়া ইউরোপের বাইরে কানাডা ও ইন্দোনেশিয়াও এই ট্যাংক ব্যবহার করে। অত্যাধুনিক এই ট্যাংকের বৈশিষ্ট্য-ডিজাইনও বিভিন্ন রকম হয়। এই ট্যাংকে নাইটভিশন সরঞ্জাম এবং লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার আছে, যার সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব পরিমাপ করা যায়।
টিএম