বিমান চলাচল ও ভিসা সেবা চালু করছে ইরান-সৌদি

গত মাসে (মার্চে) সবাইকে চমকে দিয়ে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরি দেশ সৌদি আরব ও ইরান। মূলত চীনের মধ্যস্থতায় এ দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্স্থাপন করতে সম্মত হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
মার্চে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়— স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনায় যা যা প্রয়োজন সেগুলো আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
এর অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল, নাগরিকদের ভিসা প্রদান এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সফরের ব্যবস্থা আবারও পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তেহরান ও রিয়াদ।
এদিন সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানের মন্ত্রী হোসেন আমীরাব্দুল্লাহিয়ান এক টুইট বার্তায় বলেছেন বৃহস্পতিবারের বৈঠকটি ‘ইতিবাচক’ ছিল। এছাড়া বৈঠকে স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্বারোপ, টেকসই নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের বিষয়গুলো নিয়ে তারা ঐকমত পোষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন আমীরাব্দুল্লাহিয়ান।
২০১৬ সালে সৌদি আরবে এক শিয়া মুসলিম নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর জেরে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর ইরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে সাধারণ মানুষ হামলা চালালে তখন তাৎক্ষণিক তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও দেশ দু’টি এক হওয়ার চেষ্টা করছিল। এমন সময় এগিয়ে আসে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরাসরি বিষয়টি দেখভাল করেন।
এদিকে চীনের হস্তক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরি দেশের এক হওয়ার বিষয়টির মাধ্যমে একটি বিষয় নিশ্চিত হয়েছে— ওই অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাব অনেকে বেড়েছে।
সূত্র: খালিজ টাইমস
এমটিআই