করোনা থাকবে আরও ১০ বছর, আশঙ্কা ভ্যাকসিন আবিষ্কারক বিজ্ঞানীর

আগামী ১০ বছর করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব থাকবে বলে আশঙ্কা করেছেন করোনা ভ্যাকসিনের আবিষ্কারক ফাইজার-বায়োএনটেকের অন্যতম বিজ্ঞানী উঘুর শাহিন।
জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের সিইও উঘুর শাহিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামী গ্রীষ্মের শেষে ‘নিউ নরমাল’ শুরু হবে। এর মানে দেশগুলো আর লকডাউনে যাবে না। আগামী ১০ বছর আমাদের এই ভাইরাসের সঙ্গে থাকতে হবে।
বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। ভাইরাস এখনই বিদায় নেবে না। তবে সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে হবে। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে যা যা প্রয়োজন করতে হবে। মহামারির আগের পৃথিবী ফিরে পেতে সময় লাগবে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের বিজ্ঞানী শাহিন
শাহিন বলেন, পৃথিবীর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রয়োগ করতে হবে। ভবিষ্যতে মহামারি পরিস্থিতি যাতে আর না ফিরে সেজন্য এটি জরুরি। কোনও দেশেই হয়তো আর নতুন করে দিনের পর দিন লকডাউন হবে না। তবে ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদের এককভাবে সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে পরিস্থিতি আবার খারাপ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জানিয়েছিল, এই ভাইরাসের প্রকোপ আরও কয়েক বছর চলবে। এবার ফাইজার-বায়োএনটেকের এই বিজ্ঞানীও একই কথা বললেন। যুক্তরাজ্যে খোঁজ পাওয়া করোনার নতুন ধরন নিয়ে বায়োএনটেক গবেষণা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৭ লাখ ৫১ হাজারের বেশি।
বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের তাণ্ডব চললেও এখন পর্যন্ত মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মর্ডানা’র ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুমোদন পেয়েছে।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে ফাইজারের এই ভ্যাকসিন গণহারে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। তবে এক ডজনেরও বেশি ভ্যাকসিন পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ওএফ