ভারতের মহারাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক হলো করোনা র্যাপিড টেস্ট

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ে বাজার, শপিংমল, রেল স্টেশন প্রভৃতি জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় করোনা র্যাপিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার এ বিষয়ক একটি আদেশ জারি হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, কেউ যদি টেস্ট করাতে আপত্তি জানান, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকাকে জানিয়েছেন, গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ মার্চ থেকে রাজ্যের জনসমাগমপূর্ণ এলাকাগুলোতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (র্যাট) বা সোয়াব টেস্ট বুথ বসানো হবে। সেসব এলাকায় যারা যাবেন, তাদের সবাইকে সেই বুথে গিয়ে টেস্ট করাতে হবে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছানোর কারণেই এই উদ্যোগ নিয়েছে মহারাষ্ট্র। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এটি কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যে সন্দেহ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অনেক সময় র্যাপিড টেস্টে ভুল ফলাফল আসে।
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, রেল স্টেশন ও বাজার এলাকায় যারা টেস্ট করাবেন, তাদের কোনো অর্থ দিতে হবে না। তবে শপিং সেন্টারগুলোতে যারা টেস্ট করাবেন, তাদেরকে সেজন্য টাকা দিতে হবে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ৭১০ এবং এ রোগে এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯০ জন।
ফেব্রুয়ারির দিক থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মার্চের মাঝামাঝি থেকে আবারও ভারতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সংক্রমণের গ্রাফ। শনিবার দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৯৫৩ জন।
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এছাড়া আরো ৭টি রাজ্যে সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সেগুলো হলো— কেরালা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট, তামিল নাড়ু, হরিয়ানা ও মধ্য প্রদেশ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার একাধিক নতুন ধরনের উপস্থিতি এবং লকডাউন শিথিলের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে লোকজনের উদাসীনতাই এই রাজ্যগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। দেশটির স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এসএমডব্লিউ/এমএমজে