বিমান দুর্ঘটনায় সেই শিশুদের ভাগ্য অজানা, টুইট সরালেন প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করার খবর বের হলেও তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। টুইটারে দেওয়া বার্তায় প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর নিজেই শিশুদের উদ্ধারের কথা জানালেও পরে সেই টুইট ডিলিট করেছেন তিনি।
দুর্ঘটনার শিকার শিশুদের ভাগ্য এখনও অজানা বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঘন জঙ্গলের ভেতর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয়েছিল।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) আপডেট করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান দুর্ঘটনার পরে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুর ভাগ্য বৃহস্পতিবারও অস্পষ্ট ছিল। এই শিশুদের জীবিত পাওয়া গেছে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো একটি টুইটে জানালেও সেটি মুছে দিয়ে টুইটারে দেওয়া নতুন বার্তায় তিনি বলেছেন, ওই শিশুদের উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত নয় এবং এ বিষয়ে অনুসন্ধান এখনও চলছে।
রয়টার্স বলছে, গত ১ মে ভ্রমণের সময় ওই বিমানটি ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় এবং এরপর থেকে শিশুরা নিখোঁজ রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার প্রেসিডেন্ট পেট্রো তার ডিলিট করে দেওয়া টুইটার বার্তায় বলেছিলেন, ১৩, ৯ ও ৪ বছর বয়সী শিশু এবং সেইসাথে একটি ১১ মাস বয়সী শিশুকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অনুসন্ধানের পর জীবিত পাওয়া গেছে।
তবে পরে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে টুইটারে দেওয়া নতুন বার্তায় শিশুদের খোঁজে অনুসন্ধান এখনও চলছে জানিয়ে প্রেসিডেন্ট পেট্রো বলেন, ‘আমি (আগের) টুইটটি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ (শিশু কল্যাণ সংস্থার) প্রদত্ত তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনটা ঘটার কারণে আমি দুঃখিত। এই সময়ে আপনি তাদের খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও অগ্রাধিকার নেই। শিশুদের জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, সেসনা ২০৬ মডেলের এই বিমানটি গত ১ মে কলম্বিয়ার আমাজোনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা থেকে সাতজন আরোহী নিয়ে গুয়াভিয়ার প্রদেশের সান জোসে দেল গুয়াভিয়ার শহরে যাচ্ছিল। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির ইঞ্জিন ব্যর্থতার মুখে পড়ে এবং বিপদ বুঝতে পেরে বিমানটি থেকে মে-ডে সতর্কতা জারি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দুর্ঘটনার ফলে পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছিলেন এবং তাদের মৃতদেহ বিমানের ভেতরে পাওয়া যায়। আর ১৩, ৯ এবং ৪ বছর বয়সী তিন শিশুর সঙ্গে ১১ মাস বয়সী এক শিশুও এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যায়।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর টুইটের বরাত দিয়ে এই তথ্য সামনে আনা হলেও পরে তিনি নিজেই টুইটটি সরিয়ে নেন এবং শিশুদের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে বলে গত বৃহস্পতিবার পৃথক টুইটে দাবি করেন তিনি।
টিএম