মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়াচ্ছে উত্তপ্ত লাভা

বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার আগ্নেয়গিরি মেরাপির গর্ত থেকে উত্তপ্ত লাভা দুই কিলোমিটারেরও বেশি দূরের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মেরাপি আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষক সংস্থা আগ্নেয়গিরির গর্ত থেকে সৃষ্ট অগ্নুৎপাত ও ধোঁয়ার কুণ্ডলীর নাটকীয় ছবি প্রকাশ করেছে।
আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণকারী দেশটির সরকারি সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব জিওলজিক্যাল ডিজাস্টার টেকনোলজি (বিপিপিটিকেজি) বলছে, মঙ্গলবার মেরাপির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে কয়েক ডজন ছোট ছোট কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে।
বিপিপিটিকেজির প্রধান আগুস বুদি স্যান্তোসো বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে মেরাপির কার্যকলাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে... তবে এই ধরনের অগ্নুৎপাতের বৃদ্ধি প্রায়ই মেরাপিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, আবহাওয়া পরিষ্কার থাকায় মানুষ সহজেই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত দেখতে পান।
ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগাকার্তার প্রদেশের রাজধানী ইয়োগাকার্তা থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার উত্তরে মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরির অবস্থান। দেশটির অন্যতম বৃহৎ এই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপিপিটিকেজি।
আশপাশের গ্রামের ঝুঁকির বিষয়ে পর্যালোচনার পর সেখানকার কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে মেরাপির সাত কিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে।
স্যান্তোসো বলেন, মঙ্গলবার মেরাপির অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট লাভা ওই অঞ্চলের মধ্যে ব্যাপকভাবে আছড়ে পড়েছে। ২০২০ সাল থেকে মেরাপি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বৃদ্ধির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়ে জারি করা সেই সতর্কতার স্তর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে, ২০১০ সালে মেরাপি আগ্নেয়গিরির শেষ বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় দেশটির কর্তৃপক্ষ মেরাপির আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল।
তবে মেরাপি আগ্নেয়গিরিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩০ সালে। ওই বছর মেরাপির অগ্নুৎপাতে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হন।
সূত্র: এএফপি।
এসএস