পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন নয়, বলছে ক্রেমলিন

ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করা সেতুতে হামলার ঘটনার পর ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে এবং ক্রেমলিন তা ভালো করেই জানে। কিন্তু পশ্চিমাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য এটিই যথেষ্ট কারণ নয়।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, সবচেয়ে সংকটের মুহূর্তে আমাদের সংলাপের জন্য চ্যানেল দরকার।
এর আগে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা কোনও ধরনের প্রমাণ ছাড়াই ক্রিমিয়ার সেতুতে হামলার ঘটনায় ইউক্রেন জড়িত বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে সেতুতে হামলায় ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে জানান তিনি।
মারিয়ার এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পেসকভ বলেন, ‘আমরা খুব ভালো করেই জানি কিয়েভের সরকার, ওয়াশিংটন, ইউরোপের কয়েকটি রাজধানী এবং ন্যাটোর মধ্যে সমন্বয় কতটা গভীর।’
‘ন্যাটো এবং ওয়াশিংটন থেকে কিয়েভের কাছে স্থায়ী ভিত্তিতে কেমন তথ্য আসে, তা আমরা খুব ভালো করে জানি। তাই এটি নিয়ে আমাদের কোনও বিভ্রম নেই।’
কিন্তু পশ্চিমাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সম্ভাবনা সম্পর্কে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ‘পুরোপুরি সঠিক নয়’ বলে জানান তিনি। পেশকভ বলেন, কারণ সংলাপের চ্যানেল খোলা রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
সোমবার রাতে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এক রাশিয়ান দম্পতি নিহত ও তাদের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছে। একটি পরিবার ক্রিমিয়া সেতুতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে হামলা হয়। মস্কো বলছে, এই হামলার পেছনে ইউক্রেন জড়িত।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রকল্পগুলোর একটি এই সেতু। সেখানে কীভাবে আক্রমণ চালানো হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি। তবে রাশিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন মিডিয়া গ্রুপ ম্যাশের একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই পরিবারের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এছাড়া গাড়িতে থাকা দম্পতির রক্তাক্ত দেহ বিকৃত হয়ে গেছে।
সূত্র: রয়টার্স, তাস।
এসএস