পশ্চিম তীরে আবাসনের রেকর্ড করছে ইসরায়েল

চলতি ২০২৩ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরে রেকর্ড সংখ্যক আবাসনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের সরকার। ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় শান্তিকামী প্রতিষ্ঠান পিস নাও এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে এ তথ্য।
মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিস নাও। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে মোট ১৩ হাজার নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েলের আবাসন কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো একক বছরে পশ্চিম তীরে এত সংখ্যক আবাসিক ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েনি বলে নিজেদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পিস নাও।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছরই পশ্চিম তীরে বাড়ছে ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী তৎপরতা। চলতি বছর ফিলিস্তিনের অধিভুক্ত পশ্চিম তীরের অন্তত ২২টি অবৈধ সামরিক ফাঁড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিস নাও।
গতকাল মঙ্গলবার পিস নাও’র ওয়েবসাইটে ‘ইসরায়েলি সরকার খোলাখুলিভাবে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে অবমূল্যায়ন করছে’ নামের একটি নিবন্ধ পোস্ট করা হয়। তার একদিন পরই প্রকাশিত হলো এই প্রতিবেদন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধরত দুই প্রতিবেশী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের সমাধান সম্ভব দ্বিরাষ্ট্র সমাধান তত্ত্বের মাধ্যমে।
কিন্তু এই তত্ত্ব যদি বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন বিতর্কিত এলাকায় গত কয়েক দশক ধরে যে শত শত ইসরায়েলি বাসাবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন—তাদের প্রায় সবাইকে উচ্ছেদ হতে হবে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যে সরকার ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন, সেটি ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে ডানপন্থী সরকার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিম ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনীদের সংঘাত বাড়ছে। সোমবার পার্লামেন্টে নেসেটে ইসরায়েলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট ডোমেস্টিক সিকিউরিটির সমালোচনাও করেছেন সেখানকার আইনপ্রণেতার।
পিস নাও’র বুধবারের প্রতিবেদনে পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক সংঘাতের জন্য ইসরায়েলের চরম ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোতরিচকে দায়ী করা হয়েছে। তার সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তার আমল থেকেই ইসরায়েলি আবাসনগুলো ক্রমশ ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামগুলোর দিকে এগিয়ে আসছে এবং এবং একের পর এক অবৈধ সেনাফাঁড়ি তৈরি হচ্ছে। যতদিন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন আসলে পশ্চিম তীরে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়।’
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল
এসএমডব্লিউ