পশ্চিমারা সিরিয়াকে ‘ইরাক-লিবিয়ার মতো’ ধ্বংস করতে চেয়েছিল

পশ্চিমারা শুধুমাত্র আমাকে ক্ষমতাচ্যুতই করতে চায়নি বরং সিরিয়াকে ‘ইরাক-লিবিয়ার মতো’ ধ্বংস করতে চেয়েছিল। সিরিয়াকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে রাখা ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। সম্প্রতি স্কাই নিউজ আরবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সাদ্দাম ও গাদ্দাফির পতন নয় একইসঙ্গে ইরাক ও লিবিয়াকে তারা (পশ্চিমা জোট) ধ্বংস করে দিয়েছে। সিরিয়ার সঙ্গেও একই কাজ করতে চেয়েছে।’
সাক্ষাৎকারে সিরিয়ায় দীর্ঘ সঙ্কটের পেছনে পশ্চিমারা ভূমিকার কথা তুলে ধরে বাশার আল আসাদ বলেন, ‘দখলদার মার্কিন সেনারা এখনও সিরিয়ার একাংশে উপস্থিত আছে। পশ্চিমা সরকারগুলো সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেওয়ায় সঙ্কট দীর্ঘ হয়েছে। সিরিয়াতে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির জন্য মূলত তারাই দায়ী।’
ইরান ও রাশিয়াকে সিরিয়ার প্রকৃত বন্ধু আখ্যা এবং প্রতিবেশী তুরস্ক ও ইসরায়েলের প্রতি নাখোশ সিরিয় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সিরিয়াকে দীর্ঘ এক দশক ধরে বিদেশী মদদপুষ্ট বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। যার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। দীর্ঘ এই এক দশকের লড়াইয়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এক কোটি দশ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছেন।’
প্রতিবেশী তুরস্ক সিরিয়ায় নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলার কাজে ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করে বাসার আল আসাদ বলেন, ‘তুরস্ক এখনও সিরিয়ায় দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান সিরিয়ার ভূমির একাংশের ওপর তাদের দখলদারিত্বকে বৈধতা দিতে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। কিন্তু যতক্ষণ সিরিয়ায় তুর্কি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তা বন্ধ না হবে ততক্ষণ তিনি এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নয়।’
অপরদিকে ইসরায়েল যতদিন শত্রুতা করবে এবং সন্ত্রাসীদের সহায়তা করবে ততদিন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। বলেন, ‘সিরিয়ার ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণেই পশ্চিমা সরকারগুলো; বিশেষ করে মার্কিন সরকার সিরিয়াকে দুর্বল করতে চেয়েছে। যেন ইসরাইলকে শক্তিশালী ও টিকিয়ে রাখা যায়। তাই সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না।’
এমএসএ