কোরআন অবমাননাকারীর গায়ে অগ্নিনির্বাপক ছুড়ে মারলেন এক নারী

ইউরোপের দেশ সুইডেনে গত দুই মাস ধরে প্রায়ই কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে সালওয়ান মোমিকা নামের এক ইরাকি শরণার্থী একাধিকবার পুলিশের অনুমতি নিয়ে কোরআন অবমাননা করেছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানী স্টকহামে ইরানি দূতাবাসের সামনে আবার কোরআনের পাতায় আগুন ধরিয়ে পবিত্র এ ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করতে যান তিনি। আর ওই সময় তাকে লক্ষ্য করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্প্রে করেন এক নারী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন মোমিকা। তবে কোরআন অবমাননাকারী মোমিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শান্তি বিনষ্ট ও পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করার অভিযোগে আনা হয়েছে।
মোমিকা অবশ্য এতেও ক্ষান্ত হননি। তিনি ইরানের দূতাবাসের সামনে কোরআনের পাতায় আগুন দেন।
আরও পড়ুন>>> কোরআন পোড়ানো বন্ধে পুলিশের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে সুইডেন
এদিকে কথিত বাকস্বাধীনতার নামে মোমিকাকে বারবার কোরআন অবমাননার সুযোগ দিচ্ছে দেশটির পুলিশ। তবে মোমিকার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রাথমিক অভিযোগ আনা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে পড়ে সুইডেন এখন ঘোষণা দিয়েছে, ভবিষ্যতে বাক স্বাধীনতার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এছাড়া মোমিকার কর্মকাণ্ড হিংসা ও বিদ্বেষমূলক কিনা সেটি তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এদিকে সুইডেনে যখনই কেউ কোরআন অবমাননা করার ঘোষণা দিচ্ছেন তখনই সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে দমকলকর্মীর সাজে সেখানে যাচ্ছেন। এটি মূলত তাদের একটি প্রতীকি প্রতিবাদ। এরমাধ্যমে তারা বোঝাচ্ছেন হিংসার আগুন নেভাতে এসেছেন তারা।
সূত্র: আল জাজিরা
এমটিআই