ভূমধ্যসাগর থেকে ৬৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে ভাসতে থাকা ৬৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ফ্রান্সভিত্তিক এনজিও এসওএস মেডিটেরেনির উদ্ধারকারী জাহাজ ওশন ভাইকিং। রোববার কাঠের তৈরি একটি দ্বিতল নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে এসওএস মেডিটেরেনির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শনিবার রাতে লিবিয়ার জৌয়ারা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে কাঠের তৈরি দ্বিতল সেই নৌকাটি। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা যাত্রার পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকে সেটি। রোববার সকালের দিকে নৌকাটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেছে ওশন ভাইকিং।’
‘উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অনেকেই সমুদ্রযাত্রাজনিত অসুস্থতায় (সি সিকনেস) ভুগছিলেন। এসওএস মেডিটেরেনি, ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম ওশন ভাইকিংয়ে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।’
— SOS MEDITERRANEE (@SOSMedIntl) September 10, 2023
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার সংক্রান্ত কিছু ছবি পোস্ট করেছ এসওএস মেডেটেরেনি। সেসব ছবিতে একটি সংকীর্ণ নৌকায় বেশ কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশীকে গাদাগাদি করে বসে থাকতে দেখা গেছে।
ভূমধ্যসাগরের এক তীরে লিবিয়া, অপর তীরে ইতালি। উদ্ধার অভিবাসীদেরকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল এসওএস মেডিটেরেনি। জবাবে ইতালির কর্তৃপক্ষ এই অভিবাসীদেরকে ইতালির অ্যানকোনা দ্বীপে অবরতরণের অনুমতি দিয়েচে।
তবে এতে অসন্তুষ্ট হয়েছে এসওএস মেডিটেরেনি। সোমবারের বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘সাগরের যে এলাকা থেকে এই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে থেকে অ্যানকোনা দ্বীপের দূরত্ব ১ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার; অর্থাৎ জাহাজপথে চার দিনের যাত্রা। যদি এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে অ্যানকোনো যেতে হয়, সেক্ষেত্রে ফের এখানে ফিরে আসতে সময় লাগবে কম করে হলেও আট দিন।’
‘অথচ এখন এই এলাকা ত্যাগ করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ আগামী কয়েকদিন আরও বহুসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী বোঝাই নৌকা এ পথে যাতায়াত করবে।’
২০২২ সালে ইতালিতে ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার। ইতালির অভিবাসনবিরোধী গোষ্ঠীর নেতা মাত্তেও সালভিনি বর্তমান সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মাত্তেও সালভিনি ভূমধ্যসাগরে স্বেচ্ছাসেবী এনজিওগুলোর তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র : ডন
এসএমডব্লিউ