এবার তিস্তার ভয়াল রূপ দেখছে পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি

ভয়াবহ বন্যার কবলে ভারতের সিকিম। এর রেশ পড়েছে পাশের রাজ্যগুলোতেও—বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। সিকিমে বাঁধ ভেঙে পড়ায় এবার তিস্তার ভয়াল রূপ দেখছে এ রাজ্যের মানুষ। পুজোর আগে এমন বিপর্যয় নেমে এলো বাংলায়। ইতোমধ্যে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়া চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। বিপদ এড়াতে ও আগামী কয়েক দিন সতর্ক থাকতে বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।
আসন্ন বিপর্যয় মোকাবিলায় নিজেদের আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ আসলে নৌকার মতো, নদীবেষ্টিত রাজ্য। বিহার, ঝাড়খণ্ড, সিকিম পানি ছাড়লে আমরা ডুবে যাই। এখনও পর্যন্ত মালদা ঠিক আছে। বৃষ্টি কমে গেলে ভালো, নইলে আরও বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে।
মমতা বলেন, প্রশাসনের তরফ থেকে কোথাও, কোনও গাফিলতি থাকা চলবে না। পুলিশের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। ত্রাণসামগ্রী থেকে সব বন্দোবস্ত করে রেখেছে সরকার। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। পুজোর আগে কষ্ট হচ্ছে। গ্রামের মানুষেরা দুপয়সা বাড়তি রোজগারের আশায় থাকেন। তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করার সাহস আমাদের নেই। এই সময়ে সবাইকে একজোট হয়ে, ভালবাসা দিয়ে পরস্পরকে রক্ষা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিভিসি পানি ছেড়েছে, পাঞ্চেত, মুকুটমণিপুর থেকেও পানি ছাড়া হচ্ছে, নয়তো বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা কমাতে বলা হয়েছে। ওই পানি এসে পৌঁছতে সময় লাগে তিন দিন। সেই পানি ধীরে ধীরে উদয়নারায়ণপুর, খানাকুল, ঘাটালে ঢুকতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীরা বিপর্যস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যাবেন এবং উদয়ন গুহ, রবি ঘোষরা ইতোমধ্যেই বেরিয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন
দুটি হেল্পলাইন নম্বর দিয়েছে রাজ্য সরকার, ১৮০০-২১২-১৬৫৫ ও ৯০৫১৮৮৮১৭১।
এর আগে সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর বাঁধ ভেঙে বিপর্যয় নেমে আসে। এর পর ২৭ জন সেনা সদস্য পানিতে ভেসে গেছেন বলে জানা গেছে।
এমএসএ