ভারতে কর্মী নিয়োগ দিয়ে শোরুম খুঁজছে টেসলা

ভারতে পুরোদস্তুর ব্যবসা শুরুর আগে দেশটির তিনটি প্রধান শহরে ‘শোরুম’ খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা। এ জন্য একজন নির্বাহী কর্মকর্তাও নিয়োগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শুক্রবারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে টেসলার হয়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সামলানো ছাড়াও তাদের গাড়ি প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য ‘শোরুমের’ উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়োগকৃত ওই কর্মকর্তাকে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতে একটি শাখা সংস্থা তৈরি করেছে টেসলা এবং সেই সংস্থা রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ভারতে এ বছরের মাঝামাঝি মডেল থ্রি সেডান আমদানি করে বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে টেসলা।
তার আগে তাদের গাড়ি কেনার মতো গ্রাহকের সন্ধান চালাবে টেসলা, যাতে একবার ভারতের বাজারে প্রবেশের পর আর তাদের খালি হাতে ফিরতে না হয়। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ভারতের বাজারে প্রবেশের বার্তা আগেই দিয়েছে রেখেছিলেন টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক।
ইতোমধ্যে ভারতের জাতীয় রাজধানী শহর নয়াদিল্লি, বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই ও প্রযুক্তি হাব খ্যাত বেঙ্গালুরুতে ২০ হাজার বর্গফুট থেকে ৩০ হাজার বর্গফুট মাপের শোরুম খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে টেসলা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
পাশাপাশি ভারতের বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা ‘ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার’ সাবেক নির্বাহী মানুজ খুরানাকে নিয়োগ করেছে টেসলা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে গঠিত কমিটিতে প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও ব্যবসায়িক নীতি নির্ধারণ ও ব্যবসা বাড়ানোর কৌশল ঠিক করতে এবারই প্রথম ভারতে কর্মী নিয়োগ দিল টেসলা। অবশ্য কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব দেননি মানুজও।
গত বছরের অক্টোবরে এক টুইট বার্তা ইলন মাস্ক জানান, ২০২১ সালে নিশ্চিতভাবেই তার কোম্পানি ভারতে প্রবেশ করবে। যদিও এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের টুইট করেছিলেন তিনি। তবে শোরুম খোঁজা আর নির্বাহী নিয়োগে শঙ্কা এখন ঘুঁচতে শুরু করেছে।
শোরুম খুঁজতে টেসলার নিয়োগ দেওয়া গ্লোবাল প্রপার্টি কনসালট্যান্ট সিবিআরই ধনী গ্রাহক পাওয়া যাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন জায়গার সন্ধান চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশে টেসলার শোরুমের যে আয়তন সেই একই আয়তনের জায়গার খোঁজা চলছে।
এএস