‘রাস্তার স্কুল’র সেই শিক্ষকই বিশ্ব সেরাদের তালিকায়

‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’-র আওতায় বিশ্বের সেরা দশ শিক্ষকের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ভারতের আসানসোলের শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়ক। এবার ভারতীয়দের প্রত্যাশা সেরাদের সেরা হবেন দীপনারায়ণ।
ইউনেসকো সমর্থিত ‘গ্লোবাল টিচার প্রাইজ’-র আওতায় বিশ্বের সেরা শিক্ষককে পুরস্কার মূল্য হিসেবে এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়।
ভারতীয়দের আশা, বিশ্বের ১৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের ছাপিয়ে সেরা শিক্ষকের এই পুরস্কার পাবেন আসানসোলের জামুড়িয়া তিলকা মাঝি আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষক।
এদিকে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দীপনারায়ণ লিখেন, ‘২০২৩ সালের ভার্কি ফাউন্ডেশন গ্লোবাল টিচার প্রাইজের ১০ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে নির্বাচিত হওয়ায় আমি অত্যন্ত গর্বিত ও ধন্য। যে পুরস্কারের সঙ্গে যুক্ত আছে ইউনেসকো ও দুবাই কেয়ারস। এই অবিশ্বাস্য সম্মানের জন্য ভার্কি ফাউন্ডেশন, ইউনেস্কো ও দুবাই কেয়ারসকে ধন্যবাদ।’
- কে এই দীপনারায়ণ নায়ক
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় বিভিন্ন স্কুলে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা শিক্ষার্থীরা সেই ডিজিটাল সুবিধা পায়নি। তখন তাদের পাশে দাঁড়ান দীপনারায়ণ। সবার কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন
পরিচিতি পান ‘রাস্তার শিক্ষক’ নামে। তখন তার ক্লাসের ব্ল্যাকবোর্ড হয়ে ওঠে মাটির বাড়ির দেওয়াল। বেঞ্চ নয়, রাস্তায় বসেই চলত পড়াশোনা। দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় পড়াশোনা চলত। সন্ধ্যা নামলে ভরসা ছিল মোমবাতির আলো।
তার সেই রাস্তার স্কুল নিয়ে ২০২১ সালে দীপনারায়ণ জানিয়েছিলেন, প্রথমেই তিনি খুব সাড়া পেয়েছিলেন, তা নয়। ২০২০ সালের মে মাসে ‘রাস্তার স্কুল’ খোলার সময় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচজন। ক্রমে আগ্রহ বাড়ে দরিদ্র আদিবাসী শিক্ষার্থীদের। ২০২১ সালের শেষের দিকে ‘রাস্তার স্কুল’এ শিক্ষার্থী বেড়ে হাজার ছাড়িয়ে যায়। তখন ক্লাসের জন্য গ্রামের মাটির বাড়ির দেওয়ালে নির্দিষ্ট দূরত্বে ব্ল্যাকবোর্ড লাগানো হয়। গোটা পাড়াই হয়ে ওঠে ক্লাসরুম।
এমএসএ