ইসরায়েলিদের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে দিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ইসরায়েলে যান তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ছাড়াও ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
শুক্রবারের এ সফরে ব্লিঙ্কেনকে— গত ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো একটি হামলার ভিডিও ও কয়েকটি ছবি দেখান ইসরায়েলিরা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ওই ভিডিওর বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে দেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, ‘আমি হামাসের হামলার আরও ভিডিও ও ছবি দেখেছি। মানুষ এ ধরনের কিছু নিতে পারবে না, সহ্য করতে পারবে না। উদাহরণস্বরূপ আমি (ভিডিওতে) দেখেছি, একটি এলাকার একটি পরিবারকে, একজন বাবা ও তার দুই সন্তান— যাদের বয়স ১০ ও ১১ হবে। ওই বাবা তার সন্তানদের বেডরুম থেকে নিয়ে বাড়ির পেছনের খুব ছোট একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যান। হামাসের এক সদস্য ওই ছোট আশ্রয়কেন্দ্রের ভেতর গ্রেনেড ছোড়েন। তখন তাদের বাবা সেখান থেকে বের হয়ে আসেন। বের হওয়ার পরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর শিশু দুটি বের হয়ে আসে এবং তাদের বাড়ির ভেতর ঢোকে।'
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেছেন, ‘বাড়ির ভেতর থাকা ক্যামেরায় সবকিছু রেকর্ড হচ্ছিল। তারা (শিশুরা) কাঁদছিল, একজন আরেকজনকে বলছিল, বাবা কোথায়। আরেকজন তখন বলছিল— তারা বাবাকে হত্যা করেছে, মা কোথায়। এরপর হামাসের সদস্যরা বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। তারা বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজ খুলে খাবার খাওয়া শুরু করে।’
অবশ্য ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহত ও আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ‘যখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ফিলিস্তিনি শিশু, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে টেনে তুলতে দেখি, তখন সেখানে আমি আমার নিজের সন্তানদের দেখতে পাই।’
তবে ব্লিঙ্কেন দাবি করেছেন, হামাস গাজাবাসীদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় সেখানে বেসামরিক মানুষ এত হতাহতের শিকার হচ্ছেন।
সূত্র: সিএনএন
এমটিআই