আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সাহস অবিচল: মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর সীমান্তে বিভিন্ন ঘাঁটিতে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার দীপাবলিতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় নিরাপত্তা ঘাঁটিতে গেছেন ভারতীয় এই প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করছেন তিনি। এছাড়া ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সাহস অবিচল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার (১২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেপচায় পৌঁছনোর পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ছবি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ছবিতে তাকে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে থাকতে দেখা গেছে। এসময় তাকে জওয়ানদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 12, 2023
এদিকে এক্সে দেওয়া পৃথক পোস্টে মোদি বলেছেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সাহস অবিচল। কঠিনতম ভূখণ্ডে অবস্থান করে, নিজেদের প্রিয়জনদের থেকে দূরে থেকে তাদের এই আত্মত্যাগ এবং উৎসর্গ আমাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখে। সাহসিকতার নিখুঁত মূর্ত প্রতীক এই বীরদের প্রতি ভারত সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে।’
এক্সে আরেক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘হিমাচল প্রদেশের লেপচায় আমাদের সাহসী নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কাটানো এই দীপাবলি আমার জন্য গভীর আবেগ এবং গর্বে ভরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। নিজেদের পরিবার থেকে দূরে থেকে আমাদের সেনারা আমাদের জীবনকে আলোকিত করেন।’
— Narendra Modi (@narendramodi) November 12, 2023
মূলত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন মোদি। তারই ধারাবাহিকতা মেনে এবারও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এই উৎসব পালন করছেন তিনি।
২০১৪ সালে ভারতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সে বছর দীপাবলিতে সিয়াচেন গিয়ে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছিলেন মোদি। ২০১৫ সালে পাঞ্জাব সীমান্তে গিয়েছিলেন তিনি। আর ২০১৬ সালে তিনি দীপাবলি কাটিয়েছিলেন হিমাচলে চীন সীমান্তে।
২০১৭ সালে কাশ্মিরের গুরেজ সেক্টর, ২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ডের হর্ষিলে গিয়েছিলেন মোদি। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মিরের রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেছিলেন তিনি।

এরপর ২০২০ সালে জয়সলমিরের লঙ্গেওয়ালা, ২০২১ সালে জম্মু ও কাশ্মিরের নওসেরা, ২০২২ সালে দীপাবলির দিন কার্গিলে গিয়েছিলেন ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী।
টিএম