ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইসরায়েলি সেনা নিহত

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর চালানো হামলায় নোয়া মারসিয়ানো নামের এক ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর এই ইসরায়েলি সেনাকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নোয়া মারসিয়ানো কথা বলছেন। তিনি তার পরিচয় দিচ্ছেন এবং বলছেন চারদিন আগে তাকে গাজায় ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। ভিডিওটির শেষে তার মরদেহ দেখানো হয়। মরদেহটির মাথায় গভীর ক্ষতও দেখা যাচ্ছিল। নোয়ার কথা বলার এ ভিডিওটি গত ১১ অক্টোবর ধারণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েলিদের চালানো বিমান হামলায় আহত হয়ে নোয়া গত ৯ নভেম্বর প্রাণ হারিয়েছেন।
কর্পোরাল পদমর্যাদার এই সেনার মৃত্যুর বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা জানিয়েছে, নোয়া ৪১৪ নং ইন্টিলিজেন্স কালেকশন কর্পসের নাহাল ওজ ঘাঁটিতে ছিলেন। ওই ঘাঁটিতে হামলা হামলা চালিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় হামাস।
আইডিএফের প্রধান মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, নোয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা এবং তার পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।’
ড্যানিয়েল হ্যাগারি দাবি করেছেন, হামাস মনস্তত্ত্বিক হামলা এবং অমানসিক ব্যবহার করে যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে আসে হামাস। তাদের মধ্যে মাত্র ৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। হামাস দাবি করেছে, তাদের হাতে যেসব জিম্মি ছিলো এরমধ্যে ৬০ জন বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এবারই প্রথমবার কোনো জিম্মির মরদেহের ভিডিও প্রকাশ করল তারা।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, টাইমস অব ইসরায়েল
এমটিআই