আয়ারল্যান্ডে ছুরি হামলার পর রাতভর ব্যাপক সংঘর্ষ

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ছুরি হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন আহত হওয়ার পর— সেখানে রাতভর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তিনি আয়ারল্যান্ডের নাগরিক এবং গত ২০ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছিলেন। মূলত আয়ারল্যান্ডের অভিবাসী ছিলেন তিনি।
আর এই ছুরি হামলার পর অভিবাসন বিরোধী একটি গ্রুপ দাঙ্গা শুরু করে। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় বাস, ট্রাম এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া দাঙ্গাকারীরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালান।
ছুরি হামলার সঙ্গে অভিবাসী জড়িত থাকার সন্দেহেই রাজধানীতে উগ্রডানপন্থি অভিবাসন বিরোধীরা দাঙ্গা শুরু করে।
এ দাঙ্গা থামাতে রাজধানী ডাবলিনে অন্যান্য অঞ্চল থেকে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার ডাবলিনের ও’কোনেল স্ট্রিটের একটি স্কুলে হঠাৎ করেই শিশুদের ওপর হামলা চালানো শুরু করে হামলাকারী। ওই সময় শিশুরা স্কুলে প্রবেশ করছিল। ছুরি হামলায় তিন শিশু ও তাদের এক শিক্ষক মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। অপর এক শিশু আহত হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সে বাড়িতে ফিরে গেছে। বাকিদের হাসপাতালে থাকতে হবে। জানা গেছে, ছুরি হামলায় ওই শিক্ষক এতটাই আহত হয়েছেন যে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ডাবলিনের পুলিশ কমিশনার ড্রিউ হ্যারিস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪০০ পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছে, উগ্রডানপন্থি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শহরে দাঙ্গা চালানো হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই