কুকুরের মাধ্যমেও বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন ওই তিন ইসরায়েলি জিম্মি

ভুলক্রমে গত ১৫ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। এবার সামনে এসেছে, হত্যার শিকার হওয়ার পাঁচদিন আগেই হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ওই জিম্মিরা এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি কুকুরের মাধ্যমে বাঁচার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই ঘটনার পাঁচদিন আগে— ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে একটি ভবন থেকে গুলি চালিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। সেই ভবনের ভেতরই জিম্মিদের রেখেছিল হামাস। কিন্তু ইসরায়েলিরা সেটি জানতেন না।
হামাস গুলি ছোড়ার পর ভবনটির ভেতরে একটি কুকুর পাঠিয়েছিল সেনারা। কুকুরটি ভবনে ঢোকার পর সেটিকে গুলি করে হত্যা করেন হামাসের এক যোদ্ধা। এরপর ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে হামাসের ওই যোদ্ধাও প্রাণ হারান। এতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে যান ওই তিন জিম্মি।
আরও পড়ুন
যে কুকুরটিকে ভবনের ভেতর পাঠানো হয়েছিল, সেটির শরীরে ক্যামেরা লাগানো ছিল। এরপর ১৮ ডিসেম্বর কুকুরটিকে উদ্ধারের পর সেই ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওটি পরীক্ষা করে ইসরায়েলিরা দেখতে পান— কুকুরটি সামনে ‘সাহায্য চাই, জিম্মি’ বলে চিৎকার করেন এক জিম্মি। কিন্তু ওই সময় ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ না পাওয়ায়— তারা জানতে পারেননি ভবনটির ভেতর তিন জিম্মি ছিলেন।
এরপর পাঁচদিন পর জিম্মিরা বাইরে বের হয়ে আসেন এবং ইসরায়েলি সেনাদের কাছে আসতে থাকেন। কিন্তু তাদের হামাসের যোদ্ধা ভেবে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই জিম্মিরা শুধুমাত্র কুকুরের মাধ্যমেই বাঁচার চেষ্টা করেননি। তারা একটি ভবনে ‘আমাদের বাঁচান’ এবং তিন ইসরায়েলি জিম্মি লিখে একটি সাদা কাপড় ঝুলিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও নিজ সেনাদের হাতেই নির্মমভাবে প্রাণ যায় তাদের।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমটিআই