তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে চীনবিরোধী প্রার্থী

এশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন চলছে ভোট গণনা। বুথ ফেরত ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, ভোট পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই। যাকে চীন ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে দেখে।
চীনবিরোধী উইলিয়াম লাই তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেএমটি-এর হো-ইহ থেকে ৯ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। যদিও ভোট গণনা এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি এই ব্যবধান ধরে রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদি উইলিয়াম লাই শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারেন তাহলে ক্ষমতাসীন ডিপিপি তৃতীয়বারের মতো আবারও তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসবে। যা তাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় হবে।
নির্বাচনের আগে থেকেই উইলিয়াম লাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিল চীন। তার এই এগিয়ে থাকার বিষয়টি নির্দেশ করছে— চীনের চাপকে পাত্তা দেননি তাইওয়ানের সাধারণ ভোটাররা। তারা চীন বিরোধী উইলিয়াম লাইকেই ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও তাইওয়ানের সাধারণ মানুষ আজ এমপি নির্বাচনেও ভোট দিয়েছেন।
তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত বললেও, চীন দাবি করে থাকে এটি তাদের অংশ। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীন বলেছিল এটি ‘শান্তি অথবা যুদ্ধের’ নির্বাচন।
চীন হুমকি দিয়েছে, তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে একীভূত করার চেষ্টা করা হবে। আর যদি এটি সম্ভব না হয়— তাহলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং তাইওয়ানকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করার জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই