অগ্ন্যুৎপাতে আটকে পড়া ভেড়া উদ্ধারে দুঃসাহসিক অভিযান

আইসল্যান্ডের গ্রিনদাভিক শহরের কাছে গত রোববার একটি আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের পর দুটি ফাটল দিয়ে আগ্নেয়গিরির লাভা অব্যাহতভাবে প্রবেশ করছে শহরটিতে।
গ্রিনদাভিকে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের পর যে কয়েকজন মানুষ ছিলেন তাদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে আটকে পড়েছে স্থানীয় খামারিদের প্রায় ৩০০টি ভেড়া। সেসব ভেড়া উদ্ধারে গ্রিনদাভিকে শুরু হয়েছে দুঃসাহসিক অভিযান।
ভেড়াগুলো খাঁচা এবং খোলা মাঠে অবস্থান করছে। কিন্তু সেখানে কোনো মানুষ না থাকায় গত দুই-তিনদিন ধরে পানি ও খাবারের অভাবে পড়েছে প্রাণীগুলো।
আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরুর পর যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল— তার মধ্যে ভেড়াগুলো ছিল না। তবে প্রাণী অধিকার কর্মীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেছেন, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে দামি জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ চললেও; ভেড়াগুলোকে সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা থেকে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রথমে গ্রিনদাভিকের মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় কোনো অগ্ন্যুৎপাত না হওয়ায় কিছু মানুষ শহরে ফিরে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার গৃহপালিত পশুও।
কিন্তু রোববার হঠাৎ করে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সেখানকার বাসিন্দারা দ্রুত আবার সরে যান। কিন্তু তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ভেড়াগুলোকে আর সরিয়ে নিয়ে যাননি তারা। এমনকি অনেকে খাঁচার ভেতরই ভেড়া রেখে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
আইসল্যান্ডের পশু অধিকার সংগঠনের বোর্ড মেম্বার আন্না বার্গ স্যামুয়েলডোট্টির বলেছেন, ‘ভেড়াগুলো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে আছে সেটি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক অবস্থায় তোয়াক্কা করেনি। আমরা দেখতে পেয়েছি প্রাণীগুলোর জীবনের চেয়ে দামী মেশিনগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তারা রোববার কাজ করেছে। ওই সময় প্রাণীগুলো খাঁচায় বন্দিই ছিল।’
‘খাঁচায় ভেড়াগুলোর খাবারের কোনো পানি নেই। গতকাল এক খামারি কিছু ভেড়া উদ্ধার করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে তার লড়াই করতে হয়েছে।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমটিআই