সোনার গহনা নিয়ে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব গড়াল সুপ্রিম কোর্টে

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় প্রতিটি সম্পর্কই অমূল্য। কিন্তু আবহমানকাল ধরে অনেক ক্ষেত্রেই বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক যেন এমন কিছু যা নমনীয় নয় বলে মনে করা হয়। মূলত বউ-শাশুড়ির সম্পর্কের কথা শুনলেই প্রথমে যুদ্ধ-যুদ্ধ একটা আবহ ভেসে ওঠে।
আর এই কারণে শাশুড়ি-পুত্রবধূর সম্পর্কে নানা রকম সমস্যাও লেগে থাকার কথা প্রায়ই শোনা যায়। তাই বলে, দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত গড়াবে দেশের শীর্ষ আদালতে! এমনটা হয়তো অনেকেই আশা করেন না। তবে আশা না করলেও এমনটাই ঘটেছে পাকিস্তানে।
১০ তোলা সোনার গহনা নিয়ে বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে অবশ্য নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টও পাড়ি দিয়ে এসেছেন তারা। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
— Geo English (@geonews_english) January 16, 2024
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের সাবেক পুত্রবধূর সাথে ১০ তোলা সোনা নিয়ে বিরোধের জেরে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নারী। সাবিহা খানম নামের ওই নারী তার সাবেক পুত্রবধূকে ১০ তোলা স্বর্ণ দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
জিও নিউজ বলছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন। শুনানির সময় বিচারপতি ঈসা আবেদনকারীর আইনজীবী জুলফিকার নকভিকে দুই নারীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধের বিবরণ সম্পর্কে জানতে চান।
ওই আইনজীবী আদালতকে জানান, স্বর্ণের হেফাজত নিয়ে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে বিরোধ রয়েছে। পরে প্রধান বিচারপতি ওই নারীর পুত্রবধূর বিবাহবিচ্ছেদ এবং তার হক-ই-মেহর (মোহরানা) সম্পর্কে জানতে চান।
আরও পড়ুন
জবাবে কৌঁসুলি বলেন, ওই নারীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এবং তার তিনটি সন্তান রয়েছে, যেখানে তিনি ২ হাজার রুপি ভরণপোষণ পাচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতি পরে মন্তব্য করেন, তিন সন্তানের জননীকে ১০ তোলা সোনা দিতে সমস্যা কী? পরে হাইকোর্টের রায় বাতিলের বিষয়ে আবেদনকারী সাবিহা খানমের আবেদন খারিজ করে দেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত।
টিএম