ভারতে তিন মাসে ৪৪ লাখ ডোজ টিকা নষ্ট

মহামারি করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারতের বেশ কিছু রাজ্য যখন জরুরিভিত্তিতে টিকা সরবরাহের তাগিদ দিচ্ছে, ঠিক তখন ৩ মাসে ৪৪ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এর দায় মূলত দেওয়া হচ্ছে পাঁচটি রাজ্যকে।
তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) টিকা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জবাবে আরটিআই দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গত তিন মাসে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনা টিকার বিপুল পরিমাণ ডোজ নষ্ট হয়েছে। যার একটা বড় অংশ নষ্টের জন্য দায়ী পাঁচটি রাজ্য।
আরটিআ’র দাবি অনুযায়ী টিকা নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যগুলো হল তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং তেলঙ্গানা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু রাজ্য টিকা নষ্ট করেনি বলে জানিয়েছে আরটিআই দফতর।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আরটিআই’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ কোটি ডোজ ব্যবহার করেছে রাজ্যগুলো। এর মধ্যে কিছু রাজ্যে ৪৪ লাখ ডোজ নষ্ট হয়েছে।
টিকা নষ্ট করার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু। কেন্দ্র থেকে পাওয়া মোট টিকার ১২ শতাংশ ডোজ নষ্ট করেছে এই রাজ্য। এরপরই যথাক্রমে হরিয়ানা ৯ দশমিক ৭৪, পাঞ্জাব ৮ দশমিক ১২, মণিপুর ৭ দশমিক ৮ এবং তেলঙ্গানা ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ নষ্ট করেছে।
আর যে সমস্ত রাজ্য টিকা একেবারেই নষ্ট করেনি, তাদের নামও জানিয়েছে আরটিআই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ‘জিরো ওয়েস্টেজ’ তালিকায় রয়েছে কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, গোয়া, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষ্মাদ্বীপ।
ইতোমধ্যে টিকার যোগানে ঘাটতি নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজ্য। যার মধ্যে অন্যতম দিল্লি, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র। টিকার ঘাটতি নিয়ে এসব রাজ্যের অভিযোগ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর চেয়ে তাদেরকে কম টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
এর মধ্যেই সোমবার ভারতের কেন্দ্র সরকার টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করে দেওয়ায় টিকার ঘাটতি বাড়তে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। এরই মধ্যে টিকা নষ্ট হওয়া সংক্রান্ত এই তথ্যে ভারতে টিকার যোগান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এএস