ব্রেক্সিটের দিনে জনসনের বাবার ফরাসি নাগরিকত্বের আবেদন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) কার্যকরের দিনই একজন ‘ফরাসি’ হিসেবে ফ্রান্সের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন ব্রিটিশ প্রধনামন্ত্রী বরসিন জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন।
ফরাসি পার্সপোর্ট পেতে আবেদনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানানো ইইউ পার্লামেন্টের সাবেক এই আইনপ্রণেতা ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রিটেনের ইইউ জোটে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন জানিয়েছেন, ফ্রান্সে শক্তিশালী পারিবারিক সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণেই তিনি ফরাসি পাসপোর্ট তথা দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
আবেদন গৃহীত হলে তিনি হবেন দ্বৈত নাগরিক। পাবেন ইইউ পার্সপোর্ট। ফলে আগের মতোই ভ্রমণ করতে পারবেন গোটা ইউরোপ। কিন্তু আজ (১ জানুয়ারি) থেকে ব্রিটিশ নাগরিকরা এই সুবিধা আর পাবেন না।
আশি বছর বয়সী স্ট্যানলি ফরাসি ভাষায় বলেন, ‘আমার জানাতমে, আমি একজন ফরাসি। আমার মায়ের জন্ম ফ্রান্সে, তার মা তো পুরোপুরি ফরাসি, এমনকি তার পিতামহ ফরাসি। ফলে আমার কাছে বিষয়টি হলো ইতোমধ্যে আমার কাছে যা আছে তা ফিরে পাওয়ার দাবি করা। আর এ কারণেই আমি এটাতে খুশি।’
এক বেতারে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে আমি যে সবসময় একজন ইউরোপীয়ই থাকবো একটা একেবারে নিশ্চিত। কেউ ব্রিটিশ নাগরিকদের বলতে পারবেন না যে, আপনি ইউরোপীয় নন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বন্ধন রাখাটা জরুরি।’
তার ছেলে বরিসের অবস্থান একেবারে ভিন্ন। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে যে গণরায় দেয় সেই সময় ব্রেক্সিটের পক্ষে মুখ্য প্রচারকের ভূমিকা ছিল বরিস জনসনের।
বরিস জনসনের যুক্তি, ব্রেক্সিট হলে অতি আমলাতান্ত্রিক ইইউ থেকে বেরিয়ে সম্পূর্ণ সার্বভৌম একটি দেশ হিসেবে নতুন উদ্যোমে আরও উন্নতির দিকে ধাবিত হবে যুক্তরাজ্য। তিনি কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবে পরিচিত।
এএস