ভারতে একসঙ্গে দুটি টিকা অনুমোদনের ইঙ্গিত

নতুন বছরের প্রথম দিনে ভারতীয়দের জন্য সুখবর আসতে পারে। দেশটি প্রথম দফায় দুটি কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
টিকা দুটি হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকের তৈরি করা করোনার টিকা; যা উৎপাদন করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকার নাম ‘কোভিশিল্ড’। দ্বিতীয়টি ভারতের নিজেদের উদ্ভাবিত। ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের তৈরি সেই টিকার নাম ‘কোভ্যাকসিন’।
মার্কিন ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক ভারতে তাদের টিকা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। কিন্তু তারা প্রাথমিক আবেদনের পর প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়নি বলে সরকারি সূত্রের খবর।
এদিকে শুক্রবার সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক; উভয় কোম্পানি ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে তাদের টিকা নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমোদন পেলে এরপর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হবে।। সেখানে অনুমোদনের পরই ভারতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
এছাড়া আগামীকাল শনিবার (২ জানুয়ারি) থেকে ভারতের সব রাজ্যে করোনার টিকা দেয়ার জন্য ড্রাই রান হবে। অর্থাৎ শেষবারের মতো খতিয়ে দেখা হবে করোনা টিকা দেয়ার প্রস্তুতি। যাদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে, সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকেন্দ্রে নিয়ে এসে দেখে নেওয়া হবে, সবকিছু মসৃনভাবে চলছে কিনা।
ভারতের মতো ১৩০ কোটির দেশে সবাইকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়াটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। একটু জটিলতা হলে পুরো প্রক্রিয়ায় বিপত্তি দেখা দেবে। এ জন্যই সব রাজ্যে ‘ড্রাই রান’ দেয়া হচ্ছে।
ঠিক হয়েছে, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথমে এই টিকা পাবেন। তারপর টিকা দেয়া হবে, পুলিশ, পৌরসভার কর্মীসহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখসারির কর্মীদের। সেই সঙ্গে বয়স্ক নাগরিক এবং যারা শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন গুরুতর রোগে ভুগছেন, তারা করোনার টিকা পাবেন। তারপর আসবে অন্যদের পালা।
সিরাম ইনস্টিউট ইতোমধ্যে সাত কোটির মতো টিকার ডোজ উৎপাদন করেছে। প্রত্যেককে নিতে হবে দুটি করে ডোজ। তাই এখনই সাড়ে তিন কোটি মানুষকে অক্সফোর্ডের টিকা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে ভারতের।
মার্চের মধ্যে আরও তিন কোটি টিকা তৈরি হবে বলেও জানিয়েছে সিরাম কর্তৃপক্ষ। ফলে চিকিৎসক, চিকিৎসা-স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখসারিতে থাকা মানুষরা ততদিনে করোনা টিকা পেয়ে যাবেন।
এএস