বিধ্বস্তের সময় রাইসির হেলিকপ্টারে ছিলেন ৯ জন

বিধ্বস্ত হওয়া ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে তিন জন কর্মকর্তা, একজন ইমাম, ফ্লাইট ও নিরাপত্তা দলের সদস্যসহ ৯ জন ছিলেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এআরজিসি পরিচালিত মিডিয়া আউটলেট সেপাহ জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজের জুমার নামাজ ইমাম মোহাম্মদ আলী আলেহাশেমের পাশাপাশি একজন পাইলট, কো-পাইলট, ক্রু প্রধান, নিরাপত্তা প্রধান এবং অন্য একজন দেহরক্ষী ছিলেন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট রাইসির হেলিকপ্টারের অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য তুরস্কের পাঠানো একটি ড্রোন তাপের উৎস চিহ্নিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক ইরানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আরও পড়ুন
সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ হওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
ইরানের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো সর্বশেষ আপডেটে নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহসেন মানসুরি এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহর বরাতে জানিয়েছিল, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং ওই হেলিকপ্টার থেকে দুজন ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
কিন্তু এরপর আর কোনো তথ্য জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যমগুলো শুধু জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা প্রেসিডেন্ট রাইসিকে খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
রোববার (১৯ মে) পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে।
আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।
এসএসএইচ