আজই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে রেমাল

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে আজ বিকেলেই জন্ম নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, তারপর রোববার রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ায় আছড়ে পড়তে পারে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষমতা নিয়ে। ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (আইএমডির) কর্মকর্তা ও আবহাওয়াবিদ মনিকা শর্মা এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে মনিকা শর্মা জানান, আজ শনিবার সকাল থেকে শক্তি সংগ্রহ করা শুরু করেছে নিম্নচাপটি। বিকেল কিংবা সন্ধ্যার দিকে এই ঘণীভূত রূপ থেকে জন্ম নেবে রেমাল। তারপর ২৬ মে রোববার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে।
মনিকা শর্মা জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা পূর্বাভাস অনুযায়ী চূড়ান্ত আঘাত রোববার সন্ধ্যায় ঘটলেও গত শনিবার থেকেই বঙ্গোপসাগর উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের প্রভাব পড়া শুরু করেছে। শনিবার বঙ্গোপসাগরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন
মনিকা শর্মা জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় বাতাস ঘণ্টায় ৬০-৭০ এমনকি কোনো কোনো এলাকায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে বইছে। আগামী ২৬ মে রোববার সকালে বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
রেমালের প্রভাবে শনিবার রাত থেকে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ এবং ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও অনুভূত হবে রেমালের আগমন। আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ের প্রভাবে আন্দামানে বাতাসের গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ঝড়ের পাশাপাশি আগামী ২৬ ও ২৭ মে উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ভারী বর্ষণেরও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। তবে এই বর্ষণের আশঙ্কায়ে বেশি রয়েছে আন্দামান ও বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ওড়িশা, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও দক্ষিণ মণিপুরে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএমডির পূর্বাভাসে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, নদীয়া ও ঝাড়গ্রামে ইতোমধ্যে কমলা সতর্ক সংকেত জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
সূত্র : এনডিটিভি
এসএমডব্লিউ