টিকা নিতে অনিচ্ছুক অর্ধেক মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মী

মহামারির লাগাম টানতে দেশে দুটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিতে অনিচ্ছুক। শনিবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এমন খবরই জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল।
ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কাউন্টি হাসপাতালগুলোর অর্ধেক স্বাস্থ্যকর্মীই বলছেন, তারা টিকা নিতে চান না। ওহাইয়োর নার্সিং হোমকর্মীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬০ আর লস অ্যাঞ্জেলসে তা ৪০ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা এ জন্য টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। হেলথ ওয়ার্কার ফোরাম বলছে, তাদের কাছে মনে হচ্ছে যে, টিকার ব্যাপারে তাদেরকে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
টিকা নিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরির বিষয়টি তেমন একটা না হলেও টিকা নেওয়ার দিনই আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের দুজন স্বাস্থকর্মী মারাত্মক অসুস্থ জন। অ্যালার্জির মারাত্মক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় তাদের দেহে। ফাইজারের টিকা নিয়েছিলেন এই দুই মার্কিন স্বাস্থ্যকর্মী। টিকা নিয়েও এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হন।
তবে এই সমস্যা যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে তাই নয়। আমেরিকা ছাড়াও নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যকর্মীরাও অভিযোগ করেছেন যে, টিকা নেওয়া ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাদেরকে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাদুর্ভাব কেন্দ্রের (সিডিসি) নির্দেশনা আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে সবার আগে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সসহ এ স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে শুধু তাদের সুরক্ষিত করাই হচ্ছে না, একই সঙ্গে তাদের মাধ্যমে যাতে অন্যরা মহামারি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিমুক্ত হন তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এএস